Friday 4 August 2023

জেন নিন জমি সংক্রান্ত কিছু দরকারি তথ্য

 



''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''

=খতিয়ানঃ
মৌজা ভিত্তিক এক বা একাদিক ভূমি মালিকের ভূ-সম্পত্তির বিবরণ সহ যে ভূমি রেকর্ড জরিপকালে প্রস্ত্তত করা হয় তাকে খতিয়ান বলেএতে ভূমধ্যাধিকারীর নাম  প্রজার নামজমির দাগ নংপরিমাণপ্রকৃতি,খাজনার হার ইত্যাদি লিপিবদ্ধ থাকেআমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের খতিয়ানের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় তন্মধ্যে সিএসএসএ এবং আরএস উল্লেখযোগ্য

 

=সি এস খতিয়ানঃ
১৯১০ সনের মধ্যে সরকারি আমিনগণ প্রতিটি ভূমিখণ্ড পরিমাপ করে উহার আয়তনঅবস্থান  ব্যবহারের প্রকৃতি নির্দেশক মৌজা নকশা এবং প্রতিটি ভূমিখন্ডের মালিকদখলকারের বিররণ সংবলিত যে খতিয়ান তৈরি করেন সিএস খতিয়ান নামে পরিচিত

 

=এস  খতিয়ানঃ
১৯৫০ সালের জমিদারি অধিগ্রহণ  প্রজাস্বত্ব আইন পাসের পর সরকার জমিদারি অধিগ্রহণ করেন তৎপর সরকারি জরিপ কর্মচারীরা সরেজমিনে মাঠে না গিয়ে সিএস খতিয়ানসংশোধন করে যে খতিয়ান প্রস্তুত করেন তা এসএ খতিয়ান নামে পরিচিত কোনো অঞ্চলে  খতিয়ান আর এস খতিয়ান নামেও পরিচিত বাংলা ১৩৬২ সালে এই খতিয়ান প্রস্তুতহয় বলে বেশির ভাগ মানুষের কাছে এসএ খতিয়ান ৬২র খতিয়ান নামেও পরিচিত

 

=আর এস খতিয়ানঃ
একবার জরিপ হওয়ার পর তাতে উল্লেখিত ভুলত্রুটি সংশোধনের জন্য পরবর্তীতে যে জরিপ করা হয় তা আরএস খতিয়ান নামে পরিচিত দেখা যায় যেএসএ জরিপের আলোকে প্রস্তুতকৃত খতিয়ান প্রস্তুতের সময় জরিপ কর্মচারীরা সরেজমিনে তদন্তকরেনি তাতে অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়ে গেছে ওই ত্রুটি বিচ্যুতি দূর করার জন্য সরকার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরেজমিনে ভূমি মাপ ঝোঁক করে পুনরায় খতিয়ান প্রস্তুত করারউদ্যোগ নিয়েছেন এই খতিয়ান আরএস খতিয়ান নামে পরিচিত সারাদেশে এখন পর্যন্ত তা সমাপ্ত না হলেও অনেক জেলাতেই আরএস খতিয়ান চূড়ান্তভাবে প্রকাশিত হয়েছেসরকারি আমিনরা মাঠে গিয়ে সরেজমিনে জমি মাপামাপি করে এই খতিয়ান প্রস্তুত করেন বলে তাতে ভুলত্রুটি কম লক্ষ্য করা যায়। 

 

=বি এস খতিয়ানঃ
সর্ব শেষ এই জরিপ ১৯৯০ সা পরিচালিত হয় ঢাকা অঞ্চলে মহানগর জরিপ হিসাবেও পরিচিত

 

=দাগঃ
দাগ শব্দের অর্থ ভূমিখ- ভূমির ভাগ বা অংশ বা পরিমাপ করা হয়েছে এবং যে সময়ে পরিমাপ করা হয়েছিল সেই সময়ে ক্রম অনুসারে প্রদত্ত ওই পরিমাপ সম্পর্কিত নম্বর বা চিহ্ন

সরেজমিনে জরিপ করার পর আমিন বা জমি পরিমাপকারী সর্ব প্রথম গ্রামের চতুঃসীমা নির্ধারণ করেন এবং গ্রামের প্রতিটি ভূমিখ-পরিমাপ করে তার অবস্থান ওই গ্রামের প্রস্তুয়মান নকশায় প্রদর্শন করার জন্য সংখ্যায়িত করেন এভাবে নকশায় প্রদর্শিত প্রতিটি ভূমিখন্ডের সংখ্যাকে দাগ নম্বর বলে দাগকেকোথাও কিত্তা বলা হয়

 

=পর্চা কীঃ
ভূমি জরিপকালে প্রস্তুতকৃত খসরা খতিয়ান যে অনুলিপি তসদিক বা সত্যায়নের পূর্বে ভূমি মালিকেরনিকট বিলি করা হয় তাকে মাঠ পর্চা বলে রাজস্ব অফিসার কর্তৃক পর্চাসত্যায়িত বা তসদিক হওয়ার পর আপত্তি এবং আপিল শোনানির শেষে খতিয়ান চুরান্তভাবে প্রকাশিত হওয়ার পর ইহার অনুলিপিকে পর্চা বলা হয়

 

=চিটাঃ
একটি ক্ষুদ্র ভূমির পরিমাণরকম ইত্যাদির পূর্ণ বিবরণ চিটা নামে পরিচিত বাটোয়ারা মামলায় প্রাথমিক ডিক্রি দেয়ার পর তাকে ফাইনাল ডিক্রিতে পরিণত করার আগেঅ্যাডভোকেট কমিশনার সরেজমিন জমি পরিমাপ করে প্রাথমিক ডিক্রি মতে সম্পত্তি এমনি করে পক্ষদের বুঝায়ে দেন ওই সময় তিনি যে খসড়া ম্যাপ প্রস্তুত করেন তা চিটা বাচিটাদাগ নামে পরিচিত

 

=দখলনামাঃ
দখল হস্তান্তরের সনদপত্রসার্টিফিকেট জারীর মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি কোনো সম্পত্তি নিলাম খরিদ করে নিলে সরকার পক্ষ সম্পত্তির ক্রেতাকে দখল বুঝিয়ে দেয়ার পর যে সনদপত্র প্রদান করেন তাকেদখলনামা বলেসরকারের লোক সরেজমিনে গিয়ে ঢোল পিটিয়েলাল নিশান উড়ায়ে বা বাঁশ গেড়ে দখল প্রদান করেন কোনো ডিক্রিজারির ক্ষেত্রে কোনো সম্পত্তি নিলাম বিক্রয় হলে আদালত ওইসম্পত্তির ক্রেতাকে দখল বুঝিয়ে দিয়ে যে সার্টিফিকেট প্রদান করেন তাকেও দখলনামা বলা হয়যিনি সরকার অথবা আদালতের নিকট থেকে কোনো সম্পত্তির দখলনামা প্রাপ্ত হনধরে নিতে হবে যেদখলনামা প্রাপ্ত ব্যক্তির সংশ্লিষ্ট সম্পত্তিতে দখল আছে

 

=বয়নামাঃ
১৯০৮ সালের দেওয়ানি কার্যবিধির ২১ আদেশের ৯৪ নিয়ম অনুসারে কোনো স্থাবর সম্পত্তির নিলাম বিক্রয় চূড়ান্ত হলে আদালত নিলাম ক্রেতাকে নিলামকৃত সম্পত্তির বিবরণসংবলিত যে সনদ দেন তা বায়নামা

নামে পরিচিত
বায়নামায় নিলাম ক্রেতার নামসহ অন্যান্য তথ্যাবলি লিপিবদ্ধ থাকে কোনো নিলাম বিক্রয় চূড়ান্ত হলে ক্রেতার অনুকূলে অবশ্যই বায়নামা দিতে হবে
যে তারিখে নিলাম বিক্রয় চূড়ান্ত হয় বায়নামায় সে তারিখ উল্লেখ করতে হয়

 

=জমাবন্দিঃ
জমিদারি আমলে জমিদার বা তালুকদারের সেরেস্তায় প্রজার নামজমি  খাজনার বিবরণী লিপিবদ্ধ করার নিয়ম জমাবন্দি নামে পরিচিত বর্তমানে তহশিল অফিসে অনুরূপরেকর্ড রাখা হয় এবং তা জমাবন্দি নামে পরিচিত

 

=দাখিলাঃ
সরকার বা সম্পত্তির মালিককে খাজনা দিলে যে রশিদ প্রদান করা হয় 
তাদাখিলা বা খাজনার রশিদ নামে পরিচিতদাখিলা কোনো স্বত্বের দলিল নয়তবে তা দখল সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ বহন করে

 

=হুকুমনামাঃ
আমলনামা বা হুকুমনামা বলতে জমিদারের কাছ থেকে জমি বন্দোবস্ত নেয়ার পর প্রজার স্বত্ব দখল প্রমাণের দলিলকে বুঝায় সংক্ষেপে বলতে গেলে জমিদার কর্তৃক প্রজার বরাবরেদেয়া জমির বন্দোবস্ত সংক্রান্ত নির্দেশপত্রই আমলনামা

 

=জমা খারিজ কিঃ
জমা খারিজ অর্থ যৌথ জমা বিভক্ত করে আলাদা করে নতুন খতিয়ান সৃষ্টি করা প্রজার কোন জোতের কোন জমি হস্তান্তর বা বন্টনের কারনে মূল খতিয়ান থেকে কিছু জমি নিয়েনুতন জোত বা খতিয়ান খোলাকে জমা খারিজ বলা হয়

 

=মৌজা কিঃ ক্যাডষ্টাল জরিপের সময় প্রতি থানা এলাকাকে অনোকগুলো এককে বিভক্ত করে প্রত্যেকটি একক এর ক্রমিক নং দিয়ে চিহ্নিত করে জরিপ করা হয়েছে থানা এলাকার এরুপপ্রত্যেকটি একককে মৌজা বলে এক বা একাদিক গ্রাম বা পাড়া নিয়ে একটি মৌজা ঘঠিত হয়
--------------------------
আপনার এবং আপনার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বসবাস উপযোগী বসতভিটা এবং চাষাবাদযোগ্য
জমিকে নির্ভেজাল রাখতে আপনি সচেতন হোন
---------------------------
আপনি আপনার বন্ধুদের তথা আপনজনদেরকে উপরোক্ত আইনটিতথ্যটি জানাতে অগ্রহী হলে শেয়ার করুন , আইন জানুনসচেতন হোনসতর্ক থাকুন
পরবর্তী আপডেট পেতে লাইককমেন্টশেয়ার করে একটিভ থাকুন,

 


No comments: